অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না, সময় বেধে দিয়ে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করা যৌক্তিক না।
এছাড়া তিতুমীরসহ সাত কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকার গঠিত কমিটি কাজ করছে বলে জানান ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অযৌক্তিকভাবে একটা বিশ্ববিদ্যালয় করলে সেটার ভার পরবর্তী সরকারকে বহন করতে হবে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি বলেন, ‘তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই। এ মুহূর্তে রাজশাহী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো কলেজ।’
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, তিতুমীর কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে যেতে চায়। তারা জনদুর্ভোগ চায় না। জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন তিনি।
সাত কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে চায় না। তাই ৭ কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য একটি কমিটি কাজ করছে। তবে দাবি বাস্তবায়নে সময় বেঁধে দেয়া কাঙ্খিত নয়।’
এখন টিভি অনলাইন থেকে সংগৃহীত
মূল লেখাঃ https://ekhon.tv/national/679f446819cb4f5d57af1e6f
পড়াশোনার মান, অবকাঠামো, ইতিহাস-ঐতিহ্য সব কিছু বিবেচনা করলে, রাজশাহী কলেজ দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনামূলক এগিয়ে থকবে। কিন্তু কখনোই রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবী তুলেনি, আশা করি তুলবেও না। কারণ তারা কখনই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগে না বরং রাজশাহী কলেজ পরিচয় দিতই সাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং একই সাথে এটাও জানে যে, জেনে-বুঝে কলেজে ভর্তি হয়ে সেটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবী করাটা নিজেদেরকেই ছোট করা, এতটুকু বোধ বুদ্ধি অন্ততঃ রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের আছে।